আমরা প্রবীণদের কাছে শুনেছি, আমাদের মহানবী মেরাজের রাতে বায়তুল্লাহ থেকে বাইতুল আকসা গমন করেন এবং সেখানে যাত্রা বিরতিকালে নবীদের ও ফিরিশতাদের নিয়ে সালাত আদায় করেন। বড় হয়ে বই কেতাব পড়ে জেনেছি, পবিত্র কুরআনে সুরা ইসরায়ে এসম্পর্কে বলা হয়েছে। বর্তমানে ইসরাইলের ইহুদি সরকারের কারণে সেখানে অনেকের ভ্রমণ সম্ভব নয়। তবে নেটে এই ঐতিহাসিক স্থানের ছবি পাওয়া যায়। এখানে কয়েকেটি ছবি ও কিছু তথ্য দেয়া হল।
|
মিহরাব আন্নবি , গম্বুজ বিশিষ্ট এ স্থাপনার নিচে রাসুল সা, নামাজ পড়েছিলেন। |
কুব্বাতুস সাখরা বা ডোম অব রক এবং কুব্বাতুল মেরাজ বা মেরাজ গম্বুজ স্থাপণার মাঝে এই কুব্বাতুন নবি বা মেহরাবুন্নবি অবস্থিত। নিচের ছবিতে কুব্বাতুল মেরাজ সাদা রঙের গম্বুজ বিশিষ্ট স্থাপনা ও কুব্বাতুস সাখরার ছায়া এবং মাঝে কুব্বাতুন নবি।
নিচের ছবিতে কুব্বাতুন নবি ও কুব্বাতুস সাখরা দেখা যাচ্ছে।
ইসলামের ইতিহাসে এবং প্রামাণ্য তথ্যে দেখা যায়, বাইতুল আকসা ও কুব্বাতুস সাখরা চত্ত্বরে অনেকগুলো কুব্বা বা গম্বুজ বিশিষ্ট স্থাপনা রয়েছে। যেমন- কুব্বাতুল ইউসুফ, কুব্বাতুল খাদরা, কুব্বাতুল মিজান, কুব্বাতুল আরওয়াহ ইত্যাদি।
|
এটি কুব্বাতু সুলাইমান |
কুব্বাতুন নবি স্থাপনাটি দুইটি পর্যায়ে নির্মাণ করা হয়। প্রথমবার সুলতান সুলতান আল কানুনীর শাসনকালে কুদ্স ও গাজার প্রশাসক মুহাম্মদ বেক ৯৪৫ হিঃ মোতাবেক ১৫৩৮ ইসায়িতে এটি নির্মাণ করেন। মেহরাবের ভিত্তিটি তখন ৭০ সেন্টিমিটার উচু করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায় হচ্ছে সুলতান আবদুল মজিদ বিন সুলতান মাহমুদের শাসনকালে ১২৬১ হিঃ মোতাবেক ১৮৪৫ ইসায়িতে এর ভিত্তি ও গম্বুজ নির্মাাণ সম্পন্ন হয়।
|
মিহরাব আন নবি |
স্থাপণাটি আটটি পাথরের কলাম বা পিলারের ওপর সীসার কাঠামো দিয়ে গম্বুজ বানানো হয়।
|
দর্শনার্থীরা গম্বুজের নিচে বসে আছেন |
সীসার কাঠামোর ওপর এলুমিনিয়ামের আস্তর দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়।
|
অজুখানা থেকে ডোম অব রকের সোনালী গম্বুজ দেখা যাচ্ছে |
নিচের ছবিতে বায়তুল আকসা মসজিদ।