Sunday, October 11, 2020
Tuesday, July 28, 2020
Zoom Online Calligraphy Course, Batch-1
Zoom Online Calligraphy Course 2020
Batch-1
We are complate our 1 batch.
Please see the Pdf file. catalog of Batch-1
Wednesday, July 15, 2020
Calligraphy Education : Home and Abroad
ক্যালিগ্রাফি শিক্ষা : দেশে বিদেশে
----------- মোহাম্মদ আবদুর রহীম
শিল্পকলার বনেদি অংশ ক্যালিগ্রাফি। হাজার বছর ধরে বিভিন্ন দেশের শিল্পকলায় ক্যালিগ্রাফি শিক্ষাকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এশিল্প শিক্ষার মৌলিক উপকরণ হল- কাগজ, কালি, ক্যালিগ্রাফি কলম ও বই।
ক্যালিগ্রাফির শেখার বই দু'রকম। তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক।
বিভিন্ন দেশে ক্যালিগ্রাফির ইনস্টিটিউট, প্রতিষ্ঠান, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এশিল্প শিক্ষার সুযোগ আছে।
সুতরাং এশিল্পটি শেখার জন্য আমাদেরকে একাডেমিক লেভেলকে অগ্রাধিকার ও গুরুত্ব দিলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমরা দ্রুত স্থান করে নিতে পারবো।
ক্যালিগ্রাফি শেখার বইপত্র নিয়ে কিছু কথা হল, যেহেতু এটা ওস্তাদ নির্ভর একটি শিল্পকলা, এজন্য ওস্তাদ ক্যালিগ্রাফারের নিজের লেখা কিতাবকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়। আধুনিক ক্যালিগ্রাফিতে মিশরের সাইয়েদ ইবরাহীম, ইরাকের হাশেম মুহাম্মদ আল বাগদাদি, আব্বাস শাকের বাগদাদি, তুরস্কের মুহাম্মদ শাওকী আফেন্দি, বাংলাদেশের মুখতার আলম(কাবা শরীফের গিলাফের ক্যালিগ্রাফার), মাসউদ আল মাক্কি, মোহাম্মদ আবদুর রহীম, চীনের হাজি নুর দীন প্রমুখ নিজের কিতাব দিয়ে তালিমুল খত্তিল আরাবি কোর্স করান বা করানো হয়। এছাড়াও আরও ওস্তাদ আছেন যারা অন্যের কিতাব ফলো করে তালিম দিয়ে থাকেন।
অনলাইনে ক্যালিগ্রাফির কোর্স অনেকে শুরু করেছেন। মাশা আল্লাহ! এটা অনেক আশাপ্রদ বিষয়। একটু খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেল, এর অধিকাংশ কোর্স আন্তর্জাতিক মান তো দূরে থাক, সাধারণ শিক্ষণ নীতিমালা সেখানে ফলো করা হচ্ছে না। এতেকরে সাধারণ শিক্ষার্থী বিভ্রান্ত হচ্ছেন। এমনকি যাকে এডভ্যান্স কোর্স সার্টিফিকেট দেয়া হচ্ছে, তিনি সুলুস শৈলীর একটা আলিফই লিখতে পারেন না। অভিযোগ আছে, কেউ কেউ বলছেন, ক্যালিগ্রাফি শিক্ষায় নাকি ক্যালিগ্রাফি কলমের কোন দরকার নেই?¡! কি ভয়ঙ্কর কথা!!! তাহলে তো এ প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক যিনি এসব কথা বলে ক্যালিগ্রাফি কোর্স করাচ্ছেন, আসলে তিনি নিজেই ক্যালিগ্রাফার নন। এজন্য ক্যালিগ্রাফি যিনি শেখাচ্ছেন, তার উস্তাদ কে, সনদ আছে কি না, তা যাচাই করা উচিত। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একাডেমিক সনদ ছাড়া এ শিল্পশিক্ষাটি নৈরাজ্যে ভরে উঠবে।
আশাকরি যারা ক্যালিগ্রাফি শিখবেন ও শেখাবেন, বিষয়টি বিবেচনা করবেন।
ক্যালিগ্রাফির শেখার বই দু'রকম। তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক।
বিভিন্ন দেশে ক্যালিগ্রাফির ইনস্টিটিউট, প্রতিষ্ঠান, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এশিল্প শিক্ষার সুযোগ আছে।
সুতরাং এশিল্পটি শেখার জন্য আমাদেরকে একাডেমিক লেভেলকে অগ্রাধিকার ও গুরুত্ব দিলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমরা দ্রুত স্থান করে নিতে পারবো।
ক্যালিগ্রাফি শেখার বইপত্র নিয়ে কিছু কথা হল, যেহেতু এটা ওস্তাদ নির্ভর একটি শিল্পকলা, এজন্য ওস্তাদ ক্যালিগ্রাফারের নিজের লেখা কিতাবকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়। আধুনিক ক্যালিগ্রাফিতে মিশরের সাইয়েদ ইবরাহীম, ইরাকের হাশেম মুহাম্মদ আল বাগদাদি, আব্বাস শাকের বাগদাদি, তুরস্কের মুহাম্মদ শাওকী আফেন্দি, বাংলাদেশের মুখতার আলম(কাবা শরীফের গিলাফের ক্যালিগ্রাফার), মাসউদ আল মাক্কি, মোহাম্মদ আবদুর রহীম, চীনের হাজি নুর দীন প্রমুখ নিজের কিতাব দিয়ে তালিমুল খত্তিল আরাবি কোর্স করান বা করানো হয়। এছাড়াও আরও ওস্তাদ আছেন যারা অন্যের কিতাব ফলো করে তালিম দিয়ে থাকেন।
অনলাইনে ক্যালিগ্রাফির কোর্স অনেকে শুরু করেছেন। মাশা আল্লাহ! এটা অনেক আশাপ্রদ বিষয়। একটু খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেল, এর অধিকাংশ কোর্স আন্তর্জাতিক মান তো দূরে থাক, সাধারণ শিক্ষণ নীতিমালা সেখানে ফলো করা হচ্ছে না। এতেকরে সাধারণ শিক্ষার্থী বিভ্রান্ত হচ্ছেন। এমনকি যাকে এডভ্যান্স কোর্স সার্টিফিকেট দেয়া হচ্ছে, তিনি সুলুস শৈলীর একটা আলিফই লিখতে পারেন না। অভিযোগ আছে, কেউ কেউ বলছেন, ক্যালিগ্রাফি শিক্ষায় নাকি ক্যালিগ্রাফি কলমের কোন দরকার নেই?¡! কি ভয়ঙ্কর কথা!!! তাহলে তো এ প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক যিনি এসব কথা বলে ক্যালিগ্রাফি কোর্স করাচ্ছেন, আসলে তিনি নিজেই ক্যালিগ্রাফার নন। এজন্য ক্যালিগ্রাফি যিনি শেখাচ্ছেন, তার উস্তাদ কে, সনদ আছে কি না, তা যাচাই করা উচিত। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একাডেমিক সনদ ছাড়া এ শিল্পশিক্ষাটি নৈরাজ্যে ভরে উঠবে।
আশাকরি যারা ক্যালিগ্রাফি শিখবেন ও শেখাবেন, বিষয়টি বিবেচনা করবেন।
Calligraphy classwork : Harf and Lafz (letter and word)
ক্লাস ওয়ার্ক : হরফ ও লফজ
স্বল্প মেয়াদি কোর্সে কোন বিষয় শেখা বা শেখানো আর অচেনা পাহাড় ডিঙ্গানো সমান কথা। আর সেটা যদি ক্যালিগ্রাফি শিল্প হয়। আল্লাহপাকের অশেষ মেহেরবানী শিক্ষার্থীরা যে বিষয়টি অনুধাবন করতে চেষ্টা করছেন ও আনন্দ পাচ্ছেন, এতে আশার সঞ্চার হচ্ছে, একদিন এদের ভেতর থেকে আলো বেরিয়ে চারদিক উজ্জ্বল করে তুলবে।
রঙের ক্লাসে আমরা কম্পোজিশন নিয়ে কথা বলেছি, কোন ম্যাটেরিয়ালের কি ফিচার আর সহজ ব্যবহার বিধি, তা নিয়ে আলোচনা করেছি, গল্পের ছলে নান্দনিক বিষয়ে কিছু বলার চেষ্টা করেছি। অবাক হয়েছি, গুরুত্বপূর্ণ এমন প্রশ্ন পেয়ে, যা এই কোর্স করানোর আগে কেউ করে নাই। টেক্সট আর জায়গার অনুপাতে স্ট্রোকের পুরুত্ব বা চওড়া কেমন হলে তা নান্দনিক হয়!
আমরা কাজ করতে করতে যে আন্দাজ অর্জন করি, তা অধিকাংশ সময় ব্যাখ্যা করা যায় না।
তবে ক্যালিগ্রাফির জালিল(জালি) আর খফিফ সেন্স বিষয়ে আমরা খত আল মানসুব থেকে ওস্তাদজীর বয়ানে শিখেছি।
রঙের খেলায় তা আরো মোহনীয় হয়ে ওঠে। প্রতিটি কাজে রঙের প্রয়োগ পদ্ধতি যদি ক্যালিগ্রাফির শৈলি ও দর্শন মোতাবেক করা যায়, তখন সেটা আনন্দদায়ক হয়ে ওঠে।
এই কোর্সের একটি অন্যতম উদ্দেশ্য হলে মানসিক তৃপ্তি লাভের উপলক্ষ সন্ধান।
আজ দুদিনের ক্লাসে হরফ ও লফজ দিয়ে রঙের কোমল পরশে আমরা সেই আনন্দ লাভের কোশেষ করেছি।
রঙের ক্লাসে আমরা কম্পোজিশন নিয়ে কথা বলেছি, কোন ম্যাটেরিয়ালের কি ফিচার আর সহজ ব্যবহার বিধি, তা নিয়ে আলোচনা করেছি, গল্পের ছলে নান্দনিক বিষয়ে কিছু বলার চেষ্টা করেছি। অবাক হয়েছি, গুরুত্বপূর্ণ এমন প্রশ্ন পেয়ে, যা এই কোর্স করানোর আগে কেউ করে নাই। টেক্সট আর জায়গার অনুপাতে স্ট্রোকের পুরুত্ব বা চওড়া কেমন হলে তা নান্দনিক হয়!
আমরা কাজ করতে করতে যে আন্দাজ অর্জন করি, তা অধিকাংশ সময় ব্যাখ্যা করা যায় না।
তবে ক্যালিগ্রাফির জালিল(জালি) আর খফিফ সেন্স বিষয়ে আমরা খত আল মানসুব থেকে ওস্তাদজীর বয়ানে শিখেছি।
রঙের খেলায় তা আরো মোহনীয় হয়ে ওঠে। প্রতিটি কাজে রঙের প্রয়োগ পদ্ধতি যদি ক্যালিগ্রাফির শৈলি ও দর্শন মোতাবেক করা যায়, তখন সেটা আনন্দদায়ক হয়ে ওঠে।
এই কোর্সের একটি অন্যতম উদ্দেশ্য হলে মানসিক তৃপ্তি লাভের উপলক্ষ সন্ধান।
আজ দুদিনের ক্লাসে হরফ ও লফজ দিয়ে রঙের কোমল পরশে আমরা সেই আনন্দ লাভের কোশেষ করেছি।
Monday, January 6, 2020
Jinn story
জ্বীন নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা :
তিন.
খুলনাকে জ্বীনের নগরী বলে শৈশবে শুনেছি। মাদ্রাসার বোর্ডিংয়ে ভর্তির পর বিচিত্র ধরণের আর বৈশিষ্ট্যের ছাত্রের সাথে পরিচয় হল। তাদের ভাষার বৈচিত্র আমাকে মুগ্ধ করে। আমার রুমমেট আনিস ও আজিম বাগেরহাটের আর রুহুল রামপালের। রুহুল একদিন রাতে জ্বীনের গল্প বলল। সেরাতে আমরা ভয়ে ঘুমুতে পারছি না...মনে হচ্ছে এইবুঝি চেপে ধরে ঘাড় মটকে দেবে কেউ। রুহুলের গল্পের নায়ক আউয়াল মাঝি প্রায়ই নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। আশপাশের লোকেরা বলে, জ্বীনের পিঠে চেপে সে হিল্লিদিল্লি যায়। সেই আউয়াল একদিন ফুটফুটে চাঁদের মত, মহল্লার লোকদের ভাষায় দুধে-আলতা পরীর মত বউ নিয়ে বাড়ীতে এল। সবাই চেপে ধরল, বউ পেল কোথায়? আউয়াল শ্বশুর বাড়ি বোম্বের কথা বলে আর বউ হিন্দিতে কথা বলে। মাঝি রাত করে বাড়ী ফিরে আবার কোন রাতে হয়ত আসে না। এদিকে মহল্লার জোয়ান ছেলেরা আউয়ালের বাড়ি অহেতুক ভীড় জমায়। তবে খুব তাড়াতাড়ি সেই ভীড় ভেঙ্গে গেল। হঠাত হঠাত আজব সব ঘটনা ঘটতে লাগল। মহল্লার সবচেয়ে দুষ্টু আর শয়তান ছমির একটু বেশি নজর দিয়েছিল। একদিন সকালে তাকে পগারের(মহল্লার পাশে ছোট বিল) ওপারে আকাশ ছোয়া তালগাছটার মাথায় পাওয়া গেল। গাছে বাশ লাগিয়ে তাকে নামানো হল। এবং পানি ছিটিয়ে জ্ঞান ফেরানো হলে দেখা গেল, ছমিরের জবান বন্ধ। তার চোখে আতঙ্ক এবং সেদিন বিকেলে ছমির নিরুদ্দেশ হয়ে গেল। ছমিরের সাঙ্গপাঙ্গ নেহায়েত কম ছিল না। আগের সন্ধ্যায় পগারপাড়ে নাড়ার ঘরে তাদের আড্ডায় যে অশ্লীল আলোচনা হইছিল আর ছমির যে ঘটনা ঘটাবার ইরাদা করেছিল, তার পরিণতি এতটা ভয়ঙ্কর হবে সেটা তারা মালুম করতে পারে নাই। তাদের বদখায়েশ উবে গেল আর নাড়ার ঘরের আড্ডাটাও ভেঙ্গে গেল। দুয়েক দিন পর শয়তান কিসিমের যে কেউ আউয়াল মাঝির বাড়ি মাড়াতে যায়...তাকেই হয় তাল গাছে নয়তো জংলার তেতুল গাছে পাওয়া গেল..এবং তারপর সে নিরুদ্দেশ। মহল্লায় দ্রুত আতঙ্ক গ্রাস করল। একদিন মাঝি বাড়ী পাশের সেক বাড়ীর মেয়ে জরিনা আগুন আনতে গিয়ে দেখে মাঝির বউ দুইপা চুলোয় পুরে ভাত রানছে। জরিনা ভীষন ভয় পেল এবং বাড়িতে এসে অজ্ঞান হল। দ্রুত এখবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ল, মুরব্বিরা এর একটা বিহিত করতে বিকেলে মাঝির বাড়ি গিয়ে দেখল ঘরে তালা ঝুলানো। এ গল্পের কোন সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি এবং একবার রামপালে এক বন্ধুর বড়ভাইয়ের বিয়ে খেতে গিয়েছিলাম, সারাদিন ভালই কেটেছিল কিন্তু রাতে ঘুমুতে খুব ভয় লেগেছিল। গোলপাতার ঘরে জাফরি কাটা বাশের বেড়া, খোলা প্রান্তরের বাতাস রাতে শো শো আওয়াজ তুলে ঘরের বেড়া আর চালে ধাক্কা মারে। দূরের গাছে রাতজাগা পেচার করুন চিতকার যেন পরিবেশকে ভয়পুরি বানিয়ে ফেলছে। (চলবে)
খুলনাকে জ্বীনের নগরী বলে শৈশবে শুনেছি। মাদ্রাসার বোর্ডিংয়ে ভর্তির পর বিচিত্র ধরণের আর বৈশিষ্ট্যের ছাত্রের সাথে পরিচয় হল। তাদের ভাষার বৈচিত্র আমাকে মুগ্ধ করে। আমার রুমমেট আনিস ও আজিম বাগেরহাটের আর রুহুল রামপালের। রুহুল একদিন রাতে জ্বীনের গল্প বলল। সেরাতে আমরা ভয়ে ঘুমুতে পারছি না...মনে হচ্ছে এইবুঝি চেপে ধরে ঘাড় মটকে দেবে কেউ। রুহুলের গল্পের নায়ক আউয়াল মাঝি প্রায়ই নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। আশপাশের লোকেরা বলে, জ্বীনের পিঠে চেপে সে হিল্লিদিল্লি যায়। সেই আউয়াল একদিন ফুটফুটে চাঁদের মত, মহল্লার লোকদের ভাষায় দুধে-আলতা পরীর মত বউ নিয়ে বাড়ীতে এল। সবাই চেপে ধরল, বউ পেল কোথায়? আউয়াল শ্বশুর বাড়ি বোম্বের কথা বলে আর বউ হিন্দিতে কথা বলে। মাঝি রাত করে বাড়ী ফিরে আবার কোন রাতে হয়ত আসে না। এদিকে মহল্লার জোয়ান ছেলেরা আউয়ালের বাড়ি অহেতুক ভীড় জমায়। তবে খুব তাড়াতাড়ি সেই ভীড় ভেঙ্গে গেল। হঠাত হঠাত আজব সব ঘটনা ঘটতে লাগল। মহল্লার সবচেয়ে দুষ্টু আর শয়তান ছমির একটু বেশি নজর দিয়েছিল। একদিন সকালে তাকে পগারের(মহল্লার পাশে ছোট বিল) ওপারে আকাশ ছোয়া তালগাছটার মাথায় পাওয়া গেল। গাছে বাশ লাগিয়ে তাকে নামানো হল। এবং পানি ছিটিয়ে জ্ঞান ফেরানো হলে দেখা গেল, ছমিরের জবান বন্ধ। তার চোখে আতঙ্ক এবং সেদিন বিকেলে ছমির নিরুদ্দেশ হয়ে গেল। ছমিরের সাঙ্গপাঙ্গ নেহায়েত কম ছিল না। আগের সন্ধ্যায় পগারপাড়ে নাড়ার ঘরে তাদের আড্ডায় যে অশ্লীল আলোচনা হইছিল আর ছমির যে ঘটনা ঘটাবার ইরাদা করেছিল, তার পরিণতি এতটা ভয়ঙ্কর হবে সেটা তারা মালুম করতে পারে নাই। তাদের বদখায়েশ উবে গেল আর নাড়ার ঘরের আড্ডাটাও ভেঙ্গে গেল। দুয়েক দিন পর শয়তান কিসিমের যে কেউ আউয়াল মাঝির বাড়ি মাড়াতে যায়...তাকেই হয় তাল গাছে নয়তো জংলার তেতুল গাছে পাওয়া গেল..এবং তারপর সে নিরুদ্দেশ। মহল্লায় দ্রুত আতঙ্ক গ্রাস করল। একদিন মাঝি বাড়ী পাশের সেক বাড়ীর মেয়ে জরিনা আগুন আনতে গিয়ে দেখে মাঝির বউ দুইপা চুলোয় পুরে ভাত রানছে। জরিনা ভীষন ভয় পেল এবং বাড়িতে এসে অজ্ঞান হল। দ্রুত এখবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ল, মুরব্বিরা এর একটা বিহিত করতে বিকেলে মাঝির বাড়ি গিয়ে দেখল ঘরে তালা ঝুলানো। এ গল্পের কোন সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি এবং একবার রামপালে এক বন্ধুর বড়ভাইয়ের বিয়ে খেতে গিয়েছিলাম, সারাদিন ভালই কেটেছিল কিন্তু রাতে ঘুমুতে খুব ভয় লেগেছিল। গোলপাতার ঘরে জাফরি কাটা বাশের বেড়া, খোলা প্রান্তরের বাতাস রাতে শো শো আওয়াজ তুলে ঘরের বেড়া আর চালে ধাক্কা মারে। দূরের গাছে রাতজাগা পেচার করুন চিতকার যেন পরিবেশকে ভয়পুরি বানিয়ে ফেলছে। (চলবে)
Subscribe to:
Posts (Atom)
Featured Post
Calligraphy Class started for Biggeners
I started new year Calligraphy Class. Today is 2nd class. Any person of no boundary on ages, can learn calligraphy, if he or she interes...
-
Mohammad Abdur Rahim's Calligraphy work তুরস্কে ওআইসি'র সাংস্কৃতিক বিভাগ রিসার্স সেন্টার ফর ইসলামিক হিস্ট্রি, আর্ট ...
-
_______3rd Part_______ In Calligraphy Arena of BANGLADESH Dedicated artistic works and contribution of Mohammad Abdur Rahi...