The Muslims arrived in Bengal with an adequate knowledge on coinage system. They introduced new features like name of Caliph or Khaliphath Kalima and mint for the first time on Bengal coins.-Coins from Bangladesh, Bulbul Ahmed and AKM Shahnawaz, 2013, p-85
বাংলায় মুসলিম শাসকরা প্রথম ধাতব মুদ্রা প্রচলনে টাকশাল স্থাপন করেন এবং মুদ্রায় আরবি ক্যালিগ্রাফির ব্যবহার শৈল্পিক ছোয়া পায়।
মধ্যযুগে মুসলিম শাসকদের এই কীর্তি তাদের শিল্পের প্রতি ভালবাসা বহন করে। বেলা লাহিড়ী তার ‘অ্যা সারভে অব প্রি-মুহাম্মাদান কয়েনস অব বেঙ্গল’ প্রবন্ধে বলেন, পাল ও সেন আমলে বাংলায় কোন ধাতব মুদ্রার টাকশাল ছিল না এবং আর্থিক লেন-দেনে ধাতব মুদ্রার ব্যবহারের কোন নজীর পাওয়া যায় না, বরং সুলতানরা প্রথম এটা চালু করে এবং ধাতব মুদ্রা প্রচলনে টাকশাল স্থাপন করেন।
বাংলার স্বাধীন সুলতানগণ মুদ্রায় আরবি লিপির ক্যালিগ্রাফি ব্যবহারে রুচিশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। কুফি ও নাসখী লিপির সমন্বয় এসব মুদ্রায় আভিজাত্যের ছাপ এনে দিয়েছে। বিশেষ করে মুদ্রা প্রচলনে সুলতানদের জ্ঞান ছিল আন্তর্জাতিক পর্যায়ের। দক্ষ কারিগরি কলাকৌশল আর শিল্পের প্রতি ভালবাসা লক্ষ করা যায় মুদ্রা ছাপ কর্মে। তুরস্ক, মিশর থেকে কারিগর এনে মুদ্রা তৈরিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল কিংবা উত্তর ভারতের মুসলিম শাসকদের টাকশাল থেকে কারিগর সংগ্রহ করা হয়েছে।
মুদ্রায় সঠিক মাপ ও ওজন বজায় রেখে ছাপ যন্ত্রের মাধ্যমে এটা তৈরি করা জনগণের মধ্যে ব্যপক সাড়া পড়ে। সুলতানগণ কোন যুদ্ধজয় কিংবা কোন শহরে অবকাশকালীন রাজধানী কিংবা বাণিজ্যিক গুরুত্ব উপলব্ধি করে টাকশাল স্থাপন করতেন। জনগণ নিজেদের গচ্ছিত সোনা-রূপা দিয়েও দিনার-দিরহাম তৈরি করে নিতে পারতেন টাকশাল থেকে। এতে মুদ্রা ব্যবস্থা দ্রুত উন্নতি লাভ করে ও সরকারি কোষাগার সমৃদ্ধ হয়।
No comments:
Post a Comment