বেঠিক পথে কার্যসিদ্ধি
একজন পরিচিত ব্যক্তি ফোন করলেন, তিনি প্রচুর লেখালেখি করেন পত্রিকায়। বললেন, মওলানা, আমি একটি তাফসির লিখতে শুরু করেছি আপনার দোয়া চাই। আমি বললাম আলহামদুলিল্লাহ। কৌতুহল বশত জিজ্ঞেস করলাম, কোন উসুল ও ফনে করছেন? তিনি জবাবে বলেন, কি বললেন বুঝতে পারিনি আবার বলেন। আমি কথাটা রিপিট করলে জানতে চাইলেন ফন আর উসুল জিনিসটা কি? আমি ভেবেছিলাম তিনি মাদ্রাসা শিক্ষিত, সুতরাং তার কথায় এবার সন্দেহ জাগল, বললাম কোন মাদ্রাসা থেকে তাফসির পাশ করেছেন? তিনি বললেন, না না, আমি তো কোন মাদ্রাসায় পড়িনি। একথা শুনে হতবাক হলাম। বললাম, আপনি কিভাবে কুরআনের আরবি থেকে তাফসির করছেন? তিনি বললেন, কয়েকটি বাংলা তাফসির জোগাড় করেছেন, সেগুলো দেখে লিখছেন। আমি তখন ধৈর্য্যর শেষ সীমায় পৌঁছে গেছি। বললাম, ভাই সাহেব, এই পাগলামী বাদ দেন। এতে আপনি যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, তেমনি মানুষকেও বিপদে ফেলবেন। কারণ যেকোন বিষয়ে পণ্ডিতি দেখাতে হলে সে বিষয়ে অবশ্যই পণ্ডিতি অর্জন করতে হয়, আপনারতো এটাতে প্রাথমিক জ্ঞানও নাই। সুতরাং এই কপিপেস্ট কর্ম বাদ দেন। তিনি সম্মতি জানিয়ে কথা শেষ করলেন।
দুয়েকদিন আগে আমাদের এক বড়ভাই ইনবক্সে দুজন শিল্পীর একই ধরণের কাজের দুইটা ছবি দিয়ে জানতে চাইলেন, ডিম আগে না মুরগি আগে?
আমি বললাম, প্রশ্নকর্তাই অধিক অবগত। তিনি বললেন, কয়েক বছর আগে তার একটি কাজ পাকিস্তানের একজন কপি করে নিজের নামে চালিয়েছিল, সেটা নিয়ে পোস্ট দেয়ায় আমাদের এই শিল্পী সাহেব বলেছিলেন ডিম আগে না মুরগি আগে?
বললাম, ইরানের কিয়ারাশ ইয়াঘুভি 2012 সালে এটা করেছেন এবং বাছাইকৃত কাজ হিসেবে মালয়েশিয়ার জাদুঘরে এটা সংরক্ষিত আছে।
এখন যে কেউ কোন শিল্পির কাজ কপি করতে পারেন আর সেটা নীতিমালা মেনে কপি কাজ উল্লেখ করলে সমস্যা নেই। কিন্তু ফরজারি করলে তাতে নিজে তো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ই সাথে দেশেরও বদনাম হয়।
সুতরাং বেঠিক পন্থায় কার্যসিদ্ধি পরিণামে দুর্নাম বয়ে আনে।
mm 2021 |
No comments:
Post a Comment